রুয়েব আহমেদ,, সুনামগঞ্জ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর–শান্তিগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন হুসাইন আহমেদ মিশেল। তিনি নিজেকে হাওর এলাকার মাটির সন্তান ও নিবন্ধিত কৃষক পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, রাজনীতি নয়—মানুষের বাস্তব সমস্যা ও সমাধানই তাঁর মূল লক্ষ্য।
এক বিবৃতিতে হুসাইন আহমেদ মিশেল বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক দলের টিকিটে নই। আমি আপনাদেরই একজন—এই জল-মাটি, সংগ্রাম আর সম্ভাবনার অংশ।” তিনি উল্লেখ করেন, হাওর এলাকার মানুষের দৈনন্দিন জীবন সংগ্রামে ভরা—প্রতিবছরের বন্যায় ফসলহানি, ভাঙা ও জলাবদ্ধ রাস্তায় দুর্ভোগ, কর্মসংস্থানের অভাবে তরুণদের হতাশা—সবকিছু তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন ও অনুভব করেছেন।
তিনি জানান, সুনামগঞ্জ-৩ শুধু একটি ভৌগোলিক এলাকা নয়, এটি হাজারো মানুষের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার কেন্দ্র। এ অঞ্চলের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল হলেও প্রতিবছর বন্যায় প্রায় ৩০ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়। বন্যার ঝুঁকিতে থাকে দুই লক্ষাধিক পরিবার এবং দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ গ্রাম বছরের একটি বড় সময় কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
হুসাইন আহমেদ মিশেল বলেন, “অনেকে বড় বড় জাতীয় সংস্কারের কথা বলেন, কিন্তু আমি আমাদের এলাকার ছোট ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই—রাস্তায় পানি জমে থাকা, খানাখন্দ ভরা পথ, খেলার মাঠের অভাব, নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা।”
তিনি আরও বলেন, তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার শুধু প্রতিশ্রুতির তালিকা নয়, বরং জনগণের মতামত ও অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা একটি সম্মিলিত স্বপ্নের রূপরেখা হবে। “প্রতিটি সিদ্ধান্তে জনগণের কণ্ঠস্বরই হবে মুখ্য,”—এমন অঙ্গীকারও করেন তিনি।
স্থানীয়দের মতে, একজন অরাজনৈতিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হুসাইন আহমেদ মিশেলের এই ঘোষণা হাওরাঞ্চলের ভোটারদের মধ্যে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, উন্নয়ন ও মানুষের দৈনন্দিন সমস্যাকে সামনে রেখে তাঁর এই প্রয়াস ভোটারদের কতটা আস্থা অর্জন করতে পারে।